সুরেন্দ্রনাথ ঝা তার বাবা ভজ গোবিন্দ ঝা এর মৃত্যু পর তার বড় ছেলে তুলে নেন নিজের কাঁধে এই ঠাকুর বাড়ির সমস্ত দায় দায়িত্ব । ছোট ছেলে দয়া নাথ বিহার পুলিশের চাকরি নিয়ে পুরনিয়া তে বসবাস করত । সুরেন্দ্রনাথ বাবার কাজে যোগ দেন নুরপুর পাঠান দের জমিদারি স্টেটে । সুখেই ছিল তার পরিবার । ভালুয়ারা ও দায়ুয়া মৌজা আসত গাড়ি গাড়ি ফসল । আর মামা বাড়ির অগাধ সম্পত্তি পেয়েছিলেন তিনি । সঙ্গে থাকত তার ৪ জন পেয়াদা , বাড়িতে অনেক চাকর বাকর । জমিদারির কাজ ছাড়া তিনি যাত্রা নাটক করতেন । সামাজিক কাজে তার ভুমিকা ছিল অগ্রগণ্য । আর অবসর সময়ে তার বাসভুমি কে কিভাবে বিভিন্ন গাছ পালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা ।
জাননগর মৌজার ৭০৫ নম্বর দাগ । যাকে ঘিরে তার স্বপ্ন । নানা জাতের আম , পেয়ারা ,জাম , কাঁঠাল প্রভৃতি গাছে সাজিয়ে তুলে ছিলেন তার বাগান বাড়ি । তার মাঝে বিশাল এক টিনের বাড়ি । ৮০ টি মত গরু বলদ ।
স্বাধীনতার পর যখন জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হবার পর তিনি জমিদারির কাজ ছেড়ে দেন । তিনি প্রথম রতুয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ছিলেন । তিনি তার পর আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করেন । নিয়মিত চণ্ডী গীতা পাঠ তার নিত্য কর্ম ছিল । রতুয়া বাজারের দুর্গা পুজা তিনি করতেন । ১৯৭৩ সালে হঠাৎ মারা যান । তার পর বন্ধু সেজে কিছু লুটেরা আমার মাকে ঘিরে ফেলে । আমি চাকরির জন্য বাইরে চলে যায় । পরে রইল আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি । আর এই সুযোগে অনিল ঘোষ নামে এক জমি মাফিয়া তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় । পথে বসিয়ে দিয়েছিল বৃদ্ধা তারা দেবী কে । ছেলের সাথে সম্পর্ক কে এই চক্রান্ত কারী নষ্ট করে দিয়েছিল ।
সুরেন্দ্রনাথের স্মৃতি তে জাননগর কিছু করার জন্য গেলাম তখন দেখলাম অনিল ঘোষ নামক এই হিংস্র জমি মাফিয়া রুপ দেখে আমি অবাক যে আমার পৈতৃক বাসভুমি তে গায়ের জোরে বসে আছে দখল করে ।
এই সেই জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ আর আমার দখল হয়ে যাওয়া সুরেন্দ্র নাথের বাসভুমি ।
No comments:
Post a Comment