আত্ম কথা : সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির : সুরেন্দ্রনাথ ঝা: সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দির : সুরেন্দ্রনাথ ঝা : সুরেন্দ্রনাথ ঝা জান নগর , রতুয়া , মালদহ .।
ধীরে ধীরে রতুয়ার ছাত্র আন্দোলন ও যুব আন্দোলনের কমিউনিস্ট কর্মী হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার রাজ্য নেতা দীনেশ মজুমদার ও জেলা তে শইলেন সরকার আর জীবন মৈত্র এর পরিচালনায় জেলা ব্যাপি ছাত্র যুব গড়ে উঠেছিল গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন । যদিও এই সমস্ত কাজের প্রেরনা ছিলেন মানিক ঝা প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা । ৬৬ সাল থেকে ৭২ সাল পর্যন্ত আগ্নি গর্ভ মালদার বহু ঘটনার সাক্ষী আমি ।সেদিন আমাদের দেশে কমিউনিস্ট নেতার রাষ্ট্রের শ্রেনি চরিত্র নির্ধারণ করে বৃহৎ পুঁজিপতি দের পরিচালিত বুর্জোয়া জমিদারদের সরকার তা কংগ্রেস দলের মাধ্যমে পরিচালিত ।
বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতায় কংগ্রেস সম্পর্কে মানুষের মোহ মুক্তি হতে লাগল । এর ফল ১৯৬৭ সালে অনেক গুলি রাজ্যে কংগ্রেস হেরে যায় । এই সব রাজ্যে অকংগ্রেসি সরকার গঠিত হয় । কেন্দ্রে সরকারের সুযোগ নিয়ে কংগ্রেস দল চক্রান্ত করে অকংগ্রেসি সরকার গুলি ভেঙ্গে দেয় । তাতে অবস্থার পরিবর্তন হল না । ১৯৬৯ সালে আবার নির্বাচনে কংগ্রেস আবার পরাজিত হল । পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেস শোচনীয় ভাবে পরাজিত হল । এই রাজ্যে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরধা কিন্তু ছিল মার্ক্স বাদী কমিউনিস্ট পার্টি । সেদিন বুর্জোয়া রাষ্ট্র কাঠামো তে রাজ্য সরকারে অংশ গ্রহণ করা উচিত কিনা এই প্রশ্ন সেদিন দেখা দিয়েছিল । সংস্কার এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে মানুষের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব এ কথা দক্ষিণ পন্থী কমিউনিস্ট পার্টি বলত । অন্যদিকে নকশাল পন্থী কমিউনিস্ট রা বিপ্লবী পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে জন গন তান্ত্রিক বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে । অন্যদিকে যুক্ত ফ্রন্ট সরকার কে সংগ্রামের হাতিয়ার করে বে আইনি জমি উদ্ধার আন্দোলন সি পি আই এম । ১৯৭২ সালে ব্যাপক জালিয়তি ও গুণ্ডামি দ্বারা ক্ষমতায় ফিরে এল । নেমে এসেছিল আধা ফ্যাসিবাদী আক্রমণ । সেদিন শ্রমিক বিপ্লবের স্বপ্নে ছুটে এসেছিলাম দুর্গা পুরে । এখানে জড়িয়ে পড়েছিলাম শ্রমিক আন্দোলনে । দুর্গা পুরের শ্রমিক নেতার কেউ জেলে আবার সন্ত্রাসের ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়া ।
সে ইতিহস এক মর্মান্তিক । আমার জীবনে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ এক ঝড়ো সময় । ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ শাসন ক্ষমতায় আমার স্বপ্নের নায়কেরা শাসন ক্ষমতায় । আর দেখেছি আমাদের প্রিয় কমিউনিস্ট পার্টি র অবক্ষয়ের ইতিহাস ।
ধীরে ধীরে রতুয়ার ছাত্র আন্দোলন ও যুব আন্দোলনের কমিউনিস্ট কর্মী হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার রাজ্য নেতা দীনেশ মজুমদার ও জেলা তে শইলেন সরকার আর জীবন মৈত্র এর পরিচালনায় জেলা ব্যাপি ছাত্র যুব গড়ে উঠেছিল গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন । যদিও এই সমস্ত কাজের প্রেরনা ছিলেন মানিক ঝা প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা । ৬৬ সাল থেকে ৭২ সাল পর্যন্ত আগ্নি গর্ভ মালদার বহু ঘটনার সাক্ষী আমি ।সেদিন আমাদের দেশে কমিউনিস্ট নেতার রাষ্ট্রের শ্রেনি চরিত্র নির্ধারণ করে বৃহৎ পুঁজিপতি দের পরিচালিত বুর্জোয়া জমিদারদের সরকার তা কংগ্রেস দলের মাধ্যমে পরিচালিত ।
বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতায় কংগ্রেস সম্পর্কে মানুষের মোহ মুক্তি হতে লাগল । এর ফল ১৯৬৭ সালে অনেক গুলি রাজ্যে কংগ্রেস হেরে যায় । এই সব রাজ্যে অকংগ্রেসি সরকার গঠিত হয় । কেন্দ্রে সরকারের সুযোগ নিয়ে কংগ্রেস দল চক্রান্ত করে অকংগ্রেসি সরকার গুলি ভেঙ্গে দেয় । তাতে অবস্থার পরিবর্তন হল না । ১৯৬৯ সালে আবার নির্বাচনে কংগ্রেস আবার পরাজিত হল । পশ্চিম বঙ্গে কংগ্রেস শোচনীয় ভাবে পরাজিত হল । এই রাজ্যে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরধা কিন্তু ছিল মার্ক্স বাদী কমিউনিস্ট পার্টি । সেদিন বুর্জোয়া রাষ্ট্র কাঠামো তে রাজ্য সরকারে অংশ গ্রহণ করা উচিত কিনা এই প্রশ্ন সেদিন দেখা দিয়েছিল । সংস্কার এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে মানুষের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব এ কথা দক্ষিণ পন্থী কমিউনিস্ট পার্টি বলত । অন্যদিকে নকশাল পন্থী কমিউনিস্ট রা বিপ্লবী পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে জন গন তান্ত্রিক বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে । অন্যদিকে যুক্ত ফ্রন্ট সরকার কে সংগ্রামের হাতিয়ার করে বে আইনি জমি উদ্ধার আন্দোলন সি পি আই এম । ১৯৭২ সালে ব্যাপক জালিয়তি ও গুণ্ডামি দ্বারা ক্ষমতায় ফিরে এল । নেমে এসেছিল আধা ফ্যাসিবাদী আক্রমণ । সেদিন শ্রমিক বিপ্লবের স্বপ্নে ছুটে এসেছিলাম দুর্গা পুরে । এখানে জড়িয়ে পড়েছিলাম শ্রমিক আন্দোলনে । দুর্গা পুরের শ্রমিক নেতার কেউ জেলে আবার সন্ত্রাসের ভয়ে অনেকে এলাকা ছাড়া ।
সে ইতিহস এক মর্মান্তিক । আমার জীবনে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ এক ঝড়ো সময় । ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ শাসন ক্ষমতায় আমার স্বপ্নের নায়কেরা শাসন ক্ষমতায় । আর দেখেছি আমাদের প্রিয় কমিউনিস্ট পার্টি র অবক্ষয়ের ইতিহাস ।
No comments:
Post a Comment