Sunday, May 8, 2016

অ ক্ষয় তৃতীয়া সাধনা



অক্ষয় তৃতীয়া
আজ আমার জীবনে একটি স্মরণীয় ১৯৭৩ এই দিনে আমার পরম পূজনীয় পিতৃদেব সুরেন্দ্রনাথ ঝা যিনি সুপন ঠাকুর হিসাবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন । এই পুন্য লগ্নে এই মহাপুরুষ ইহলোক ত্যাগ করেন ।

ভারত জুড়ে বৈশাখ মাসে শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া ব্রত পালিত হয় । হিন্দু ধর্মের সাধারন রীতি ও আচার গুলি পুরোহিত তন্ত্রের এক জটিল এবং সুবিস্তীর্ণ কাঠামো বেধে রেখেছে ধর্ম বিশ্বাসী দের আর এই রীতি আচার কে ধরে রাখার কাজে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে পঞ্জিকা ।
অক্ষয় তৃতীয়া হল হিন্দুদের শুভ মুহূর্ত অন্যতম দিন ।
হিন্দু দের বিশ্বাস এই দিনে রাজা ভগীরথ গঙ্গা কে মর্তে নিয়ে এসেছিলেন । এইদিনে গণপতি গণেশ বেদব্যাসএর মুখ নিঃসৃত বানী শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেন । এই দিনে দেবী অন্নপূর্ণা আবির্ভাব ঘটে । এই দিনেই কুবেরের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল সম্পদ দান করেন ।এইদিনে কুবের লক্ষ্মী লাভ করেছিলেন । এই সুদামা শ্রী কৃষ্ণ এর সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তার কাছ থেকে সামান্য চাল ভাজা নিয়ে তার সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করেন । এই দিনেই দুঃশাসন দ্রুপদির বস্ত্র হরণ করতে যান  এবং শরণাগতের পরিত্রাতা রুপে এদিন দ্রুউপদি কে রক্ষা করেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ।
এদিন পুরী তে জগন্নাথদেবের রথ নির্মাণের কাজ শুরু হয় । এই সময় কেদার বদরিনাথ গঙ্গোত্রী মন্দিরের  দ্বার উদ ঘাটন হয় ।
সতী দক্ষ যজ্ঞে পতি নিন্দা শুনে দেহত্যাগ করে ছিলেন তার নিজের দেহের কপাগ্নি সৃষ্টি করে সেই তিথি ছিল অক্ষয় তৃতীয়া ।
ভগবান বিষ্ণু ষষ্ঠ অবতার ভগবান পরশুরাম জন্ম নিয়েছিলেন । আজও অক্ষয় তৃতীয়া দিনে পুজিত হন ।
এই দিনে আমি সুরেন্দ্র স্মৃতি মন্দিরের স্থাপন ও গড়ে তোলার কাজের সুচনা হতে চলেছে ।

No comments:

Post a Comment