১৯৭৩ সালের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত নিলাম স্থায়িভাবে দুর্গাপুরে শ্রমিক শ্রেণীর মাঝে কাজ করব , তাই চলে এলাম এখানে । তখন রাজ্যে চলছে আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় রতুয়া ২ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত । দুর্গাপুরে এসে দেখলাম দুর্গাপুর সি পি এম শুন্য । আমি যে এলাকাতে এসে উঠলাম সেখানে সি পি এম নাম নেওয়া অপরাধ । ইতিমধ্যে সেখানে খুন হয়েছে সিটু নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ । এলাকা ছাড়া অনেকে ।
এরমধ্যে রঞ্জিত ধর , পিনটু ব্যানেরজির সাথে যোগাযোগ হয়েছে , তাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমি তখন ঠিকাদার শ্রমিক দের সংগঠিত করতে থাকি আর সেই সময় আমি দুর্গাপুর প্রজেক্টস কনট্রাক্টর লেবার ইউনিয়ন গড়ে তুলি ১৯৭৫ সাল জরুরী অবস্থার সময় । ভিতরে ভিতরে আমরা এই সংগঠন কে গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন এর বিকল্প হিসাবে সেই সময় কারখানার ভিতরে গোপনে কাজ করত ।
১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধির জ্রুরি অবস্থা ও রাজ্যে আধা ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় । ৩৪ বছরের বামরাজত্ব প্রমোদ দাসগুপ্ত বেচে থাকা কালিন পর্যন্ত ঠিক ছিল জনগণের সংগ্রামের হাতিয়ার তার পর দুর্নীতি সুবিধাবাদী দের আশ্রয় হয়েছিল । ২০১১ সালে এই জগদল পাথর কে বাঙালি দের ঘাড় থেকে নামাতে সক্ষম হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু ২০১৬ নির্বাচন অদ্ভুত একটা রায় দিল কংগ্রেস সি পি এম জোট কে পরাজিত করে আবার বাংলা পরিচালনার দায়িত্ব মমতাকে । আর দুর্গাপুর দিল ভিন্ন রায় ।
No comments:
Post a Comment