১৯৭৩
জাননগর রতুয়া মালদহ
১৯৭৩ মস্কো ও তাসখন্দ রেডিও প্রতিযোগিতা তে অংশ গ্রহণ । তারা তারজন্য মস্কো রঙিন কার্ড পাঠায় তাতে ছিল ক্রেমলিনের ছবি । আর এই ছবি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল সমাজ তন্ত্রের , শ্রেণী হীন শোষণ হীন সমাজের ।
১৯৭৩ ১৪/২/৭৩
ফারাক্কা যাবো রতুয়া তে বাস ধরবো বলে রাত ২ টার সময় ৫ মাইল হেটে চৌধুরী মসজিদের কাছে এসেছি । সেদিন দেখেছিলাম শীতের রাতের ভয়াল রুপ । তার পর ভোর আমি আর ভাদর সুভাষ ফারাক্কা পৌছালাম । তার পর ফারাক্কা হাই স্বুলে পৌঁছালাম তার পর প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করলাম । ফারাক্কা তে মতাজুল আর নগেনের সাথে পরিচয় হয় । খুব ভাল ব্যবহার তাদের । এই প্রথম আমি ফারাক্কা ব্যারেজ দেখলাম এই প্রথম । যার এত শুনেছি তাকে স্ব চক্ষে দেখার সৌভাগ্য আমার হল ।
১৯৭৩ ১৬/২/৭৩
পারিবারিক কলহ দারুন মনে শান্তি পাচ্ছিলাম । আর কলহের জন্য দায়ী আমার মা । বার বার আমার মনে এক অজানা দেশে চলে যায় , যেখানে শান্তি পাব । আর আমার মা পরিবারে যে অশান্তির আগুন প্রতি মুহূর্তে জ্বালিয়ে রাখতে চায় তা আমার পরিবার ধ্বংস এর দিকে ঠেলে দেবে আমি বেশ বুঝতে পারছি ।
১৯৭৩ ১৯/২/৭৩
আমি ভাবছি , আমি কোথায় বাস করছি আমার মনে হয় হয় নরক বোধ হয় এর চেয়ে ভাল । আর এই নরক থেকে বাচতে আমাকে ভিন্ন পথে জীবিকা অর্জন করার পথে হাটতে হবে ।
১৯৭৩ ২০/২/৭৩
মায়ের অশান্তির জন্য বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেল । তিনি নাজিরপুরে আছেন জানতে পারি । তাকে খুজতে আমি নাজিরপুর গিয়েছিলাম । নন্দ লাল এসে খবর ফারাক্কাতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে । ক্ষিতীশ বট রন এসেছিল ।
১৯৭৩ ২৬/২ /৭৩
স্বুল থেকে বিদায় জানানোর রাতুয়া স্কুলের চিঠি পেলাম ।
১৯৭৩ ২৭/২/ ৭৩
বালুপুরের হাট থেকে জাননগরের বাড়ি পৌঁছান মাত্র শুরু হল বিশাল শিলা বৃষ্টি । ছোট বড় সব সাইজ আবার কিছু খাজ কাঁটা । বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা । এই পাথর খেতে খুব মজা ।
১৯৭৩ ২/৩/৭৩
স্কুলের বিদায় সভায় আমি যে বক্তব্য রেখেছিলাম তা ছাত্র শিক্ষকের খুব প্রশংসা পেয়েছিলাম ।আমি সে দিন সভাতে বলে ছিলাম । আজ থেকে আমরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হারিয়ে যাবো তবে আমরা বন্ধুরা যেন প্রত্যেকে প্রত্যেকে যেন ভুলে না যায় ।
জাননগর রতুয়া মালদহ
১৯৭৩ মস্কো ও তাসখন্দ রেডিও প্রতিযোগিতা তে অংশ গ্রহণ । তারা তারজন্য মস্কো রঙিন কার্ড পাঠায় তাতে ছিল ক্রেমলিনের ছবি । আর এই ছবি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল সমাজ তন্ত্রের , শ্রেণী হীন শোষণ হীন সমাজের ।
১৯৭৩ ১৪/২/৭৩
ফারাক্কা যাবো রতুয়া তে বাস ধরবো বলে রাত ২ টার সময় ৫ মাইল হেটে চৌধুরী মসজিদের কাছে এসেছি । সেদিন দেখেছিলাম শীতের রাতের ভয়াল রুপ । তার পর ভোর আমি আর ভাদর সুভাষ ফারাক্কা পৌছালাম । তার পর ফারাক্কা হাই স্বুলে পৌঁছালাম তার পর প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করলাম । ফারাক্কা তে মতাজুল আর নগেনের সাথে পরিচয় হয় । খুব ভাল ব্যবহার তাদের । এই প্রথম আমি ফারাক্কা ব্যারেজ দেখলাম এই প্রথম । যার এত শুনেছি তাকে স্ব চক্ষে দেখার সৌভাগ্য আমার হল ।
১৯৭৩ ১৬/২/৭৩
পারিবারিক কলহ দারুন মনে শান্তি পাচ্ছিলাম । আর কলহের জন্য দায়ী আমার মা । বার বার আমার মনে এক অজানা দেশে চলে যায় , যেখানে শান্তি পাব । আর আমার মা পরিবারে যে অশান্তির আগুন প্রতি মুহূর্তে জ্বালিয়ে রাখতে চায় তা আমার পরিবার ধ্বংস এর দিকে ঠেলে দেবে আমি বেশ বুঝতে পারছি ।
১৯৭৩ ১৯/২/৭৩
আমি ভাবছি , আমি কোথায় বাস করছি আমার মনে হয় হয় নরক বোধ হয় এর চেয়ে ভাল । আর এই নরক থেকে বাচতে আমাকে ভিন্ন পথে জীবিকা অর্জন করার পথে হাটতে হবে ।
১৯৭৩ ২০/২/৭৩
মায়ের অশান্তির জন্য বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেল । তিনি নাজিরপুরে আছেন জানতে পারি । তাকে খুজতে আমি নাজিরপুর গিয়েছিলাম । নন্দ লাল এসে খবর ফারাক্কাতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে । ক্ষিতীশ বট রন এসেছিল ।
১৯৭৩ ২৬/২ /৭৩
স্বুল থেকে বিদায় জানানোর রাতুয়া স্কুলের চিঠি পেলাম ।
১৯৭৩ ২৭/২/ ৭৩
বালুপুরের হাট থেকে জাননগরের বাড়ি পৌঁছান মাত্র শুরু হল বিশাল শিলা বৃষ্টি । ছোট বড় সব সাইজ আবার কিছু খাজ কাঁটা । বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা । এই পাথর খেতে খুব মজা ।
১৯৭৩ ২/৩/৭৩
স্কুলের বিদায় সভায় আমি যে বক্তব্য রেখেছিলাম তা ছাত্র শিক্ষকের খুব প্রশংসা পেয়েছিলাম ।আমি সে দিন সভাতে বলে ছিলাম । আজ থেকে আমরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হারিয়ে যাবো তবে আমরা বন্ধুরা যেন প্রত্যেকে প্রত্যেকে যেন ভুলে না যায় ।
No comments:
Post a Comment