গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় গভীর জঙ্গলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোপীনাথপুর । সেদিন ইতিহাস প্রসিদ্ধ গোপ ভুমি ছিল শাল ,পিয়াল ,তাল তমালের গভীর অরন্যে ঢাকা পড়ে গেল তার গৌরব ময় ইতিহাস ।
মানুষ ভুলে গেল সোম ঘোষের বীর সন্তান ইছাই ঘোষ কে । কত রাজা রাজত্ব করেছে এই গোপ ভুমে । সমগ্র দুর্গাপুর তখন একপ্রকার গভীর জঙ্গলে ঢাকা । আর অবিভক্ত বাংলার বিক্রমপুর থেকে ভাগ্য অন্বেষণে প্রথমে দাইহা ট তারপর বাঁকুড়ার জগন্নাথপুর গ্রামে বসবাস করতে শুরু করেন কিন্তু সেখানকার মণ্ডল পরিবারের সাথে বনিবনা না হবার ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে দামোদর নদের তীরে নডিহা গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন । সময় ১৭৬৩ থেকে ১৭৬৫ খৃস্টাব্দে । গোপীনাথ বর্ধমান মহারাজ বিজয় চাঁদ মহতাব এর কাছ মহারাজের জমিদারির কিছু অংশ নিজ নামে পত্তনী স্বত্ব উচিত মুল্যে ক্রয় করেন । যা জঙ্গলমহল নামে পরিচিত ছিল । যার সীমানা উত্তরে অজয় নদী দক্ষিণে দামোদর নদ । বাঁকুড়া সদগোপ দের সাথে বনিবনা না হবার কারনে তিনি তার দুই পুত্র তিন কন্যা কে নিয়ে নডিহা তে বসবাস শুরু করেন ।।১৭৯৬ খৃস্টাব্দে গোপীনাথের নাম অনুসারে এই মৌজার নাম করণ হয় । তাই আজও দুর্গাপুর গোপীনাথ মৌজা নামে খ্যাত । ১৯৬৮ সালে দুর্গাপুর মহকুমায় পরিণত হয় ।
১৯৮১ সালে দুর্গাপুর থানাকে ভাগ করে দুরগাপুর কোক ওভেন নিউ টাউন শিপ নামক তিনটি থানা গঠিত হয়েছিল । পরে আরও অনেক গুলি থানা হয়েছে । আড়ার কাছে যেমন রারেস্বর শিব মন্দির তেমনি গোপীনাথপুরে দুর্গাচরণের প্রতিস্থিত শিব মন্দির আছে । দুর্গাচরণের নামেই দুরগাপুর । জন শ্রুতি আছে আড়া , বামুনারা , গোপালপুর রুপগঞ্জ কালিগঞ্জ এবং গড়ের জঙ্গলের অংশ নিয়ে এক সময় রাড় পুরী নামক এক সমবৃদ্ধ নগরী ছিল । { ব্রাম্ভন+আরা=বামুনারা }আরা শব্দের অর্থ ডাঙা ।
1১৯৭৩ সালে স্থায়ী দুর্গাপুরে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিলাম । শীতের এক রাত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসে করে দুর্গাপুরে এলাম , উঠলাম এক আত্মীয়ের বাড়িতে তখন রাজ্য ব্যাপি আধা ফাসিবাদি সন্ত্রাস । দুর্গাপুরে এই সময় সন্ত্রাসের চূড়ান্ত পর্যায় শত শত শ্রমিক কর্মচারী এলাকা চ্যুত । অনেকে খুন হয়েছেন । মর্মান্তিক দুটি ঘটনা শিক্ষক নেতা বিমল দাশগুপ্ত কে স্বুলের মধ্যে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছিল আর ডি পি এল এর শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ কারখানার গেটে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হল । এমনি তে আমি সি পি আই এম দলের সাথে যুক্ত ছিলাম ১৯৬৬ সালের ছাত্র আন্দোলনের সাথে । দীনেশ মজুমদার এর নির্দেশে রতুয়া তথা জেলার বুকে যুব আন্দোলন এর সাথে যুক্ত হয়েছিলাম । স্বপ্ন অবশ্য ছিল দুর্গাপুরে শ্রমিক আন্দোলনে নিজে কে নিয়োজিত করব । গড়ে তুলব জনগনতান্ত্রিক বিপ্লব । বিপ্লবের প্রয়োজনে নিজেকে উৎসর্গ করব । দুর্গাপুরে আসার সময় বৃদ্ধা মায়ের জিম্বায় রেখে এসেছিলাম প্রচুর স্থাবর , অস্থাবর সম্পত্তি । রাজনিতির নেশায় এগুলির প্রতি নজর দেবার ভাবনা মাথায় ছিল না । আর বিপ্লবের পর সমস্ত উৎপাদনের উপায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত হবে আর জমি গুলি হবে যৌথ খামারের অধীন । এইখানে আমার ভুল হয়েছে যে দল কে নিয়ে দেখেছিলাম সেই দল বিপ্লবী হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার পরিবর্তে সোশ্যাল ডেমক্রাট স্বৈরাচারী দলে পরিণত হয় । বিপ্লবের কামিয়ে নেবার পথে চলল । ২০১১ সালে বাংলার মানুষ এদের ছুড়ে ফেলে দেয় কারন এরা হাজার হাজার কমিউনিস্ট কর্মীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাই বাংলার মানুষ এদের যোগ্য শাস্তি দিয়েছে
১৯৭৩ থেকে ১৯৯২ আমার ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা টর্নেডো ঝড়ের আমার জীবনকে তছনচ করে দেয় । আর আমার জন্ম দায়িনী মা যে আমাকে এত বড় ক্ষতি করবে এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি । অনিল ঘোষ আমাদের পৈতৃক ভিটে উপর অনেক দিনের লোভ । আমার অবর্তমানে আমার মায়ের অজ্ঞতা নিরক্ষরতা ও তার স্বৈরাচারী মনোভাব কে ব্যবহার আমার বাস্তু পা রাখে ।
৭০৫ দাগের জমিটা আমার পৈতৃক বাসভুমি , এখান থেকে সুরন্দ্রনাথ তার নুরপুরের জমিদার দের জমিদারি পরিচালনা করতেন ।
আর আমার মা তারাদেবি এই সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অকাতরে এই সমস্ত চক্রান্ত কারী হাতে তুলে দিয়েছে ।
তার মধ্যে এক জন চক্রান্ত কারি হল অনিল ঘোষ নামক জমি মাফিয়া এই বৃদ্ধা মহিলার সব কেড়ে নিয়ে তাকে রাস্তায় বসিয়েছিল ।
এই সেই জমি মাফিয়া যে এক বৃদ্ধ ব্রাম্ভন বিধবার সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে বসে আছে আর হিংস্র রুপে সামনে এসেছে । সমাজের কাছে এর মুখোশ খুলে দেবার প্রয়োজন মনে করি আমি ;
আজ আমি দুরগাপুর স্মার্ট সিটি বসবাস করি কিন্তু মালদহের রতুয়ার জান নগর গ্রামের ঐ জমিটি আমার কাছে স্বর্গের চাইতে বড় কারন আমি মনে করি
No comments:
Post a Comment