এই আমার চলা শুরু । রাজনৈতিক জীবনের কথা বলার আগে আমার পরিবার সম্পর্কে বলা সম্পন্ন মৈথিল ব্রাম্ভন সুদুর মিথিলা থেকে নুরপুর নামক গ্রামে বসবাস শুরু করেন তার পর রুকুন্দিপুরে , তারপর জাননগর গ্রামে স্থায়ী ভাবে জাননগর বসবাস করতে শুরু করেন । তার দুই সন্তান সুরেন্দ্রনাথ ও দয়ানাথ । তিন কন্যা অহল্যা ,কৌশলা ,সরলা । জমি সংক্রান্ত এক মামলায় রতুয়ার চৌধুরী দের কাছে পরাজয়ে ভালুয়ারা মৌজার বিশাল পরিমাণ জমি তারা দখল করে নেয় । ৮০ টা মত গরু ছিল ।
তিনি ভজগোবিন্দ ঝা লোকে তাকে গুহি মিশ্র নামে জানত । তিনি নুরপুরের হায়দার খাঁ দের জমিদারীর গোমস্তা । অপূর্ব সঙ্গীতের সুর ছিল তার , সমস্ত বাদ্য যন্ত্রের তার ছিল দখল । যৌবনে রাজা পঞ্চম জজের হাত থেকে সোনার মেডেল পেয়েছিলেন তাকে বন্দনা করে সঙ্গীত রচনা করে ।
তারপর তিনি পেয়েছিলেন শশুর বাড়ি ডউয়া তে পেয়েছিলেন জমি আর প্রচুর কাঁসা পেতল রুপার বাসন পত্র । সুখ সইল না । স্বাস্থ্য ও শরীর ভেঙ্গে পড়ল ভালুয়ারা মৌজার জমি হারিয়ে ফেলার তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন একদিন মারা গেলেন । সংসারের দায়িত্ব বড় ছেলে সুরেন্দ্রনাথের উপর । আর দয়ানাথ চলে গেল পুলিশের চাকরি নিয়ে । সুরেন্দ্রনাথ বাবার কাজে দায়িত্ব সাথে গোটা পরিবার এক বিপর্যয়ের সময় তখন তিনি ১৮/১৯ বছরের যুবক সেই সময় তার যোগ্যতা প্রমান করেছিলে ।
সুরেন্দ্রনাথ বিখ্যাত ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন । এলাকা তে জ্ঞানী গুনি ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে তাদের প্রিয় সুপন ঠাকুর । জমিদার প্রথা বিলোপ হবার পর তিনি কাজ ছেড়ে দিলেন । যদিও তিনি সেই সময় সরকারি তরফ তাকে খাজনা আদায়ের চাকরি দিতে চেয়ে ছিল কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেন নি । বরং হিন্দু পুজা পাঠ , গীতা পাঠ ,চণ্ডী পাঠ আর রতুয়া বাজারে দুর্গা মন্দিরে নিত্য পুজা করতেন । দুর্গা মন্দিরে ডোম দের পাঁঠা বলি করিয়ে তিনি রক্ষণশীল দের কোপে পড়েছিলেন ।
সাধারন মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা তাকে কংগ্রেস আমলে প্রথম পঞ্চায়েতে তাকে নির্বাচিত করে ছিল । পঞ্চায়েত থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য দুজন চৌকিদার নিয়োগ করেছিল তার জন্য ।
সেই পরিবারে আমার জন্ম হল । ছোট বেলা জাননগর আমার ভালই কেটেছে । পাঁচ বাগান বাড়ি যার মধ্যে আম, জাম ,কাঁঠাল , পেয়ারা ,আমড়া , বেদানা , লিচু গাছে ভরা বাস্তুতে আট চালা বিরাট শাল কাঠের কাঠামো করা টিনের বাড়ি ।
এখানে কেটেছে
আমার ছোট বেলা জাননগর গ্রামের সাথে জড়িয়ে আছে তাই এই জন্মভুমি কে ভুলতে পারব না ।
তিনি ভজগোবিন্দ ঝা লোকে তাকে গুহি মিশ্র নামে জানত । তিনি নুরপুরের হায়দার খাঁ দের জমিদারীর গোমস্তা । অপূর্ব সঙ্গীতের সুর ছিল তার , সমস্ত বাদ্য যন্ত্রের তার ছিল দখল । যৌবনে রাজা পঞ্চম জজের হাত থেকে সোনার মেডেল পেয়েছিলেন তাকে বন্দনা করে সঙ্গীত রচনা করে ।
তারপর তিনি পেয়েছিলেন শশুর বাড়ি ডউয়া তে পেয়েছিলেন জমি আর প্রচুর কাঁসা পেতল রুপার বাসন পত্র । সুখ সইল না । স্বাস্থ্য ও শরীর ভেঙ্গে পড়ল ভালুয়ারা মৌজার জমি হারিয়ে ফেলার তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন একদিন মারা গেলেন । সংসারের দায়িত্ব বড় ছেলে সুরেন্দ্রনাথের উপর । আর দয়ানাথ চলে গেল পুলিশের চাকরি নিয়ে । সুরেন্দ্রনাথ বাবার কাজে দায়িত্ব সাথে গোটা পরিবার এক বিপর্যয়ের সময় তখন তিনি ১৮/১৯ বছরের যুবক সেই সময় তার যোগ্যতা প্রমান করেছিলে ।
সুরেন্দ্রনাথ বিখ্যাত ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন । এলাকা তে জ্ঞানী গুনি ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন সবার কাছে তাদের প্রিয় সুপন ঠাকুর । জমিদার প্রথা বিলোপ হবার পর তিনি কাজ ছেড়ে দিলেন । যদিও তিনি সেই সময় সরকারি তরফ তাকে খাজনা আদায়ের চাকরি দিতে চেয়ে ছিল কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেন নি । বরং হিন্দু পুজা পাঠ , গীতা পাঠ ,চণ্ডী পাঠ আর রতুয়া বাজারে দুর্গা মন্দিরে নিত্য পুজা করতেন । দুর্গা মন্দিরে ডোম দের পাঁঠা বলি করিয়ে তিনি রক্ষণশীল দের কোপে পড়েছিলেন ।
সাধারন মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা তাকে কংগ্রেস আমলে প্রথম পঞ্চায়েতে তাকে নির্বাচিত করে ছিল । পঞ্চায়েত থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য দুজন চৌকিদার নিয়োগ করেছিল তার জন্য ।
সেই পরিবারে আমার জন্ম হল । ছোট বেলা জাননগর আমার ভালই কেটেছে । পাঁচ বাগান বাড়ি যার মধ্যে আম, জাম ,কাঁঠাল , পেয়ারা ,আমড়া , বেদানা , লিচু গাছে ভরা বাস্তুতে আট চালা বিরাট শাল কাঠের কাঠামো করা টিনের বাড়ি ।
এখানে কেটেছে
আমার ছোট বেলা জাননগর গ্রামের সাথে জড়িয়ে আছে তাই এই জন্মভুমি কে ভুলতে পারব না ।
No comments:
Post a Comment